ডঃ জাকির নাইক স্যারের ব্যাপারে যারা সন্দিহান তাদের জন্য ( এক বিরোধী মনের ফিরে আসার কাহিনী)

ডাঃ জাকির আবদুল করিম নায়েক,শুধুমাত্র একটি নাম। আমি এ নামটি আজ হতে ৪/৫ বছর আগেও জানতাম না!


কিন্তু আজ ৫/৬ বছর পর – তিনি আমার জীবনের পাওয়া একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব। নিজ মা-বাবার পর সবচাইতে বেশী ভালবাসার মানুষ। বর্তমান বিশ্বের নাম্বার ওয়ান দাঈ ইলাল্লাহ!
.
এই লোকটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাই, কওমী আহলে দেওবন্দীদেরকে।প্রশ্ন করবেন,আমি কেন কওমী আহলে দেওবন্দীদেরকে ধন্যবাদ দিলাম। আসুন জেনে নিন!
.
আজ থেকে ৫/৬ বছর আগে কওমীদের সকল ওয়াজ মাহফিল শুনতে যেতাম।আসলে ওয়াজ শুনতে ভাল-ই লাগতো। তাই বাদ দিতাম না কোনটাই। সেই মাহফিলগুলোতে একটি শব্দ সবচেয়ে বেশি শুনতাম –তারা ওয়াজ করতো, আর হঠাৎ মাঝে মধ্যে বলতো, বতর্মান যুগে এক ফেতনার আবিষ্কার হয়েছে, আর এই ফেতনা বাজরা শুধু বাহিরেই ফেতনাবাজি করে না, ঘরে ঘরেও ফেতনার সৃষ্টি করেছে, বলুন তো দলটি কে?
তখন উপস্থিত জনতা চুপ করে থাকতো। তারা এই ফিতনার দল কোনটি জানেন না! তখন বক্তা বলতো, “এই ফিতনা হচ্ছে পীস টিভি যার উস্তাদ ডাঃ জাকির নায়েক, লা মাযহাবী ইহুদী খৃষ্টান কাফেরদের দালাল। এরাই বতর্মান সমাজে ফিতনার সৃষ্টি করছে। এদের থেকে সাবধান থাকবেন ...ইত্যাদি।”
.
বিশ্বাস করেন এক একটি ওয়াজ মাহফিলে বক্তাগণ কমপক্ষে ৫-১০ বার পর্যন্ত এই এ জাতীয় কথাই বলতো। যেন পৃথিবীতে আর কোন সমস্যা নাই। এই লোকটি-ই একমাত্র সমস্যা।
.
আমি একদিন ঠিক করলাম আজ দেখবো, কে এই ডাঃ জাকির নায়েক? আর কেনই বা লোকটি ও তার দলটি মুসলিম হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছে?
.
ইন্টারনেট ব্যাবহার আগে থেকেই জানতাম। ইউটিউব এ নাটক-সিনেমা দেখতাম। একদিন ইউটিউব এ ডাঃ জাকির নায়েক লিখে সার্চ দিলাম। রেজাল্ট হিসাবে অসংখ্য ভিডিও এসে হাজির হলো। ছোট ছোট ক্লিপস হতে শুরু করে, এক একটি ভিডিও ৩/৪ ঘন্টা পর্যন্ত ছিলো।আমি রুটিন করে প্রায় সব ভিডিও দেখা শুরু করলাম। যতই দেখছি অবাক হচ্ছি, ফিতনার কিছু তো খুজে পাচ্ছি না। হয়তো আমার ইসলামী জ্ঞান কম তাই ফিতনা চোখে পড়ছে না।
.
তিনি বিধর্মীদের সাথে প্রশ্ন উত্তরের আয়োজন করছে,তাদেরকে ইসলামের দাওয়া দিচ্ছে, হাজার হাজার ইহুদী খৃষ্টান আসছে। তাদের মাঝে পবিত্র কোরআন এবং সহিহ হাদীসের বানী শুনাচ্ছে। তারা তাদের মনে জমে থাকা প্রশ্নগুলো করছে। তিনি সেগুলো বিজ্ঞান এবং কোরআন-হাদীস দিয়ে উত্তর দিচ্ছেন। ভাবলাম, এগুলো কি ফিতনা? মন সায় দিলো না।
.
ডাঃ জাকির নায়েক এর কথা শুনে কিছু কিছু বিধর্মী মুসলিম হচ্ছে,
শাহাদাৎ পাঠ করছে,দেখে খুবই আশ্চর্য হয়ে গেলাম। এগুলো কি ফিতনা? বিশ্বাস করি কি করে?
.
যেই বিধর্মী লোকটি একটু আগে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললো, আর সেই লোকটি কি না যুক্তিযুক্ত উত্তর পেয়ে, নিজের ধর্ম ত্যাগ করে, এখনই শাহাদাৎ পাঠ করে মুসলীমদের কাতারে নাম লেখালো। এগুলো কি ফিতনা? মন সায় দিলো না!
.
বিশ্বাস করুন, এ জাতীয় প্রতিটি ভিডিও দেখার পর আমার চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে পানি এসে পড়তো। কয়েকদিন আগেও যে লোকটির নামও জানতাম না, কখন যে নিজের অজান্তে সেই লোকটিকে এমন প্রচন্ড ভাবে ভালবেসে ফেললাম,বুঝতে পারলাম না। প্রতিটি অমুসলীম শাহাদাৎ পাঠ করে, আমি কান্না শুরু করে দেই। ভাবতাম আম কাঁদছি কেন? ডা. জাকির নায়েক ফিতনা কি আমাকে গ্রাস করলো?
.
ভিডিওগুলো দেখে শুধুই ভাবতাম, যেই লোকটির কাছে এসে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে শাহাদাৎ পাঠ করে, সেই লোকটি কি করে ইহুদীদের দালাল হয়, তার কাজ-কর্ম কি করে ফিতনা হয়? ঐ হুজুরগণ কি করে বলেছিলেন যে, তিনি ইহুদী-খৃষ্টানদের দালাল, ফিতনাবাজ?
.
আমার চিন্তায় নতুন কিছু ধরা পড়লো। অতঃপর ইউটিউব –এ দেওবন্দী কওমী হুজুরদেরও কিছু ভিডিও দেখা শুরু করলাম, যা আগে কখনও দেখি নাই। বিশ্বাস করুন কয়েকটি ভিডিও দেখার পরই আমার চিন্তার সত্যতা পরিষ্কার হয়ে উঠলো। বুঝতে পারলাম কে সঠিক পথে আছে।
.
তারপর থেকে এই পর্যন্ত ডাঃ জাকির নায়েকের অনেক ভিডিও দেখলাম এবং অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আর তার সাথে এটাও জানতে পারলাম ও বুঝতে পারলাম কারা প্রকৃত পক্ষে ইসলামের নামে অ-ইসলামের পথে আছে।
.
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, হক্ব বুঝতে পারার এই বুঝ আল্লাহর তরফ থেকে আমার প্রতি এক বিশেষ রহমত, আর কিছু না। আলহামদুলিল্লাহ। এই রহমত আল্লাহর তরফ হতে সবাই পায় না। পেলে কেউ ডা. জাকির নায়েক এর অন্ধ বিরোধীতা করতো না।
.
তাছাড়া সত্য গ্রহণও এত সহজ না।এই ৪/৫ বছরে আমিও প্রচুর পড়াশুনা করেছি। আর এই পড়াশুনার কারনেই আমার সামনে হক্ব আর না হক্ব পরিষ্কার হয়ে ধরা দিয়েছে। যারা ডা. জাকির নায়েক এর বিরোধীতা করে তারা মুলত মাদ্রাসায় হেদায়া আর কুদুরী পড়া পোলাপাইন। তাদের কাছে ইসলামটা মাযহাবের মাঝেই সীমাবদ্ধ। মাযহাবের এই গন্ডির বাহিরেও যে, বিশাল এক সৌন্দর্য মন্ডিত ইসলাম রয়েছে, তা তারা জানে না,জানতে চায় না, কখন উপলদ্ধিও করে না!
.
আমার আজকের দিনের পরিবর্তনের জন্য, ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে জানতে, চিনতে ও বুঝতে সাহায্য করার জন্য আজ আমি ধন্যবাদ জানাই দেওবন্দী কওমীদেরকে। তারা যদি এভাবে গালিগালাজ দিয়ে ডা. জাকির নায়েক এর বিরুদ্ধে প্রচার না করতো, তাহলে হয়তো আজও আমি এই ডা. জাকির আবদুল করিম নায়েককে চিনতাম না।
.
সুতরাং ধন্যবাদ দেওবন্দী কওমী তোমাদের।
তোমাদের গালিগালাজের প্রশংসা করতে হয় !!!
__ __
সংগৃহীত!
ডঃ জাকির নাইক স্যারের ব্যাপারে যারা সন্দিহান তাদের জন্য ( এক বিরোধী মনের ফিরে আসার কাহিনী) ডঃ জাকির নাইক স্যারের ব্যাপারে যারা সন্দিহান তাদের জন্য ( এক বিরোধী মনের ফিরে আসার কাহিনী) Reviewed by poland Trending now Trends on December 19, 2017 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.