সুরা ইখলাস--- জান্নাত তো আমাদের হাতছানি দেয়, ডাকে সাড়া দিব কিনা, আমাদের ইচ্ছা ...


এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” [বুখারী ৭৭৪ , তিরমিযী ২৯০১]
 রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হবে।” [সহীহ আল-জামি আস-সগীরঃ ৬৪৭২]

.রাসুলুল্লাহ (সা) এক ব্যক্তিকে সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করতে শুনলেন। তিনি বললেন “এটা তার অধিকার”। সাহাবারা জিজ্ঞাস করলেন, তার অধিকার কি? তিনি উত্তর দিলেন, “তার অধিকার হচ্ছে জান্নাত।” [মুসনাদে আহমাদঃ ৭৬৬৯]
.রাসুলুল্লাহ (সা) একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল (সা) তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। [সহীহ বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১]

*** দিনে রাতে যতবার ইচ্ছা, বেশি বেশি করে সুরা ইখলাস পড়া যাবে।
____________________
সুরা ইখলাসের সরল তর্জমাঃ
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।
ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়,
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ
আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, বরং সকলেই তাঁর মুখেপেক্ষী
ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮﻟَﺪْ
তিনি কাউকে জন্ম দেন নি, তাঁকেও কেউ জন্ম দেয় নাই।
ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦ ﻟَّﻪُ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪٌ
এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
____________________
সুরা ইখলাসের শব্দার্থঃ
আয়াত একঃ ক্বুল হুয়া-ল্লাহু আহা’দ।
ক্বুল = বলুন (say)
হুয়া = তিনি (he)
আল্লাহু = আল্লাহ্
আহাদ = এক/অদ্বিতীয় (one and only)
আয়াতের অর্থঃ (হে নবী) আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক ও অদ্বিতীয়।
.
আয়াত দুইঃ আল্লাহুস-সামাদ।
আল্লাহু = আল্লাহ্,
আস-সামাদ = যার উপরে সমস্ত কিছু নির্ভরশীল কিন্তু তিনি সমস্ত কিছু হতে অমুখাপেক্ষী (absolute and eternal) – এটা আল্লাহর একটা নাম।
আয়াতের অর্থঃ আল্লাহ্ সমস্ত কিছু হতে অমুখাপেক্ষী, কিন্তু সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
.
আয়াত তিনঃ লাম ইয়ালিদ ওয়া-লাম ইউলাদ।
লাম = করেন নি বা দেন নি (did not)
ইয়ালিদ = জন্ম দেওয়া (to give birth)
ওয়া = এবং (and)
লাম = করেন নি বা দেন নি (did not)
ইউলাদ= জন্ম নেওয়া (born)
আয়াতের অর্থঃ তিনি কাউকে জন্ম দেন নি, তাঁকেও কেউ জন্ম দেয় নাই।
.
আয়াত চারঃ ওয়া-লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহা’দ।
ওয়া = এবং
লাম = করেন নি বা দেন নি (did not)
ইয়া কুল্লাহু = তার মতো বা তার সমান (like him)
কুফুওয়ান = সমান, (কুফু থেকে কুফুওয়ান, কুফু অর্থ হলো সমতা)
আহাদ = এক ও অদ্বিতীয়।
আয়াতের অর্থঃ এবং তাঁর মতো আর কেউ নেই।
সুরা ইখলাস--- জান্নাত তো আমাদের হাতছানি দেয়, ডাকে সাড়া দিব কিনা, আমাদের ইচ্ছা ... সুরা ইখলাস--- জান্নাত তো আমাদের হাতছানি দেয়, ডাকে সাড়া দিব কিনা, আমাদের ইচ্ছা ... Reviewed by poland Trending now Trends on December 21, 2017 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.